ভোলায় ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালো যুবক

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

ভোলায় ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালো যুবক
নিউজটি শেয়ার করুন

 

 

ভোলা : দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনে এক নারীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছে মো. নাঈম (৩৫) নামের যুবক। রোববার রাতে স্থানীয় ভাষানচর গ্রামের এক জেলের স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করে যুবক।

 

এসময় ২৬ বছর বয়সি নারী ব্লেড দিয়ে যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

পেশায় মোটরসাইকেল চালক নাঈম রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাষানচর গ্রামের আজম আলী সরদারের ছেলে।

 

ভুক্তভোগী নারী (২৬) জানান, তিনি দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করেন। স্বামীর পেশার পাশাপাশি নকশিকাঁথা তৈরি করে বিক্রি করেন গৃহবধূ। নাঈম তার স্বামীর বন্ধু। সেই সুবাদে তাদের বাড়ি যাওয়া-আসা করতেন। তিন মাস ধরে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন নাঈম। বিষয়টি নিয়ে নাঈমকে বারবার সতর্ক করেছিলেন ওই নারী।

 

তিনি বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাই। আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে নাঈম। বাথরুম থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ মুখ চেপে ধরে আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাঈম। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি লেগে যায় আমার।

 

উপায় না পেয়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে খাটের পাশে থাকা সুঁই-সুতার বক্স থেকে ব্লেড নিয়ে নাঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেই। তখন নাঈম চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

 

গৃহবধূ আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে নাঈমের পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন মাদকসেবী বিভিন্নভাবে আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

 

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শোভন কুমার বশাক বলেন, রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে নাঈমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) এমদাদুল হক মিঠু বলেন, নাঈম এর আগেও এলাকার কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল। ওসব ঘটনায় কয়েকবার তাকে জরিমানা করা হয়। নাঈম এলাকার চিহ্নিত লম্পট। ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া হয়।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ