পটুয়াখালী

ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর, পটুয়াখালীতে ঠিকাদার কারাগারে

By admin

August 03, 2021

 

পটুয়াখালীতে ঋণ না দেয়ায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে মারধরের মামলায় কারাগারে গেলেন এক ঠিকাদার। মঙ্গলবার পটুয়াখালীর গলাচিপার বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ঠিকাদার আবদুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অগ্রণী ব্যাংকের গলাচিপা শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ব্যবস্থাপক নাজমুল হাসানকে মারধর করেন ঠিকাদার রাহাত চৌধুরী। ওই দিন বিকেলে আপস-মীমাংসার কথা বলে ব্যাংকে ডেকে এনে গলাচিপা থানার পুলিশ রাহাত চৌধুরীকে আটক করে। রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন নাজমুল হাসান।

 

মামলার বরাত দিয়ে নাজমুল হাসান জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার ব্যবসায়ী মেসার্স চৌধুরী ট্রেড লিংকের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষে ঢোকেন। এ সময় তিনি আগের করা ৬০ লাখ টাকার ঋণের পর আরও ৪০ লাখ টাকা বর্ধিত ঋণ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হন।

 

তিনি আরও জানান, রাহাত চৌধুরীর আগের ৬০ লাখ টাকা ঋণের পর আরও ৪০ লাখ টাকার বাড়তি যে ঋণ নিতে চান, তা তার জামানতে ঋণের আওতাবহির্ভূত। এ কথা শুনে রাহাত চৌধুরী শাখা ব্যবস্থাপক নাজমুলের জামার কলার ধরে মারধর করে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পেপার ওয়েট দিয়ে টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর ও কাগজপত্র নষ্ট করেন। এ সময় ব্যবস্থাপকের চিৎকার শুনে ব্যাংকের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

 

পরে গলাচিপা থানার পুলিশ ব্যাংক পরিদর্শন করে। এর আগেই রাহাত চৌধুরী সেখান থেকে পালিয়ে যান।

 

গলাচিপা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলাম কবির জানান, বেলা ৩টার দিকে আপস-মীমাংসার কথা বলে রাহাত চৌধুরী ওই ব্যাংকে গেলে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

 

তিনি জানান, রাহাত চৌধুরী এর আগেও ২০১৫ সালে গলাচিপা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনকেও (বর্তমানে অবসরে) লাঞ্ছিত করেছিলেন। তার বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময় ঘটনা আপস-মীমাংসা হয়েছিল।

 

গলাচিপা থানার ওসি জানান, মারধরের ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাজমুল হাসান মামলা করেছেন। ওই মামলায় রাহাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গলাচিপা বিচারিক হাকিম আদালতে নেয়া হয়। বিচারক শান্তনু কুমার মণ্ডল জামিনের আবেদন বাতিল করে তাকে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।