ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত বরিশাল জেলায় ৬১০টি অগ্নিকাণ্ডে ৭ কোটি ১০ লাখ ৪ হাজার ৫শ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এক বছরে বরিশালে মোট অগ্নিকাণ্ডগুলোর মধ্যে ৪৮ শতাংশ ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে। তারপর রয়েছে গ্যাসের চুলার মাধ্যমে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড। ৬৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সিগারেট থেকে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের অসাবধনতাই অধিকাংশ আগুনের জন্য দায়ী। তাছাড়া অগ্নিকাণ্ড নির্বাপনের ক্ষেত্রে সরঞ্জাম ও জনবল সংকট রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,মোট দুর্ঘটনার মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ২৯১টি, চুলা (ইলেকট্রিক, গ্যাসের, মাটির ইত্যাদি) থেকে ১৫০টি, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৬৮টি, উত্তপ্ত ছাই/জ্বালানি থেকে ৮টি, খোলা বাতির ব্যবহার থেকে ৯টি, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে ১৪টি, যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত কারণে দু’টি, শত্রুতামূলক একটি, বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে একটি, স্বতঃফুর্ত প্রজ্জ্বলন থেকে ২টি, চিমনির স্কুলিঙ্গ থেকে একটি, স্থির বিদ্যুৎ থেকে ২টি, বিস্ফোরণ (সিলিন্ডার, বয়লার ইত্যাদি) থেকে ৭টি, যানবাহনের দুর্ঘটনাজনিত কারণে ১৭টি। এছাড়া আরও ৪১টি অগ্নিকাণ্ডের কারন শনাক্ত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এসব দুর্ঘটনায় একজনের প্রাণহানি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন ৮ জন। আর উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫ জন আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগের উপ-পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ড কমিয়ে আনতে হলে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। একই সাথে প্রশিক্ষণেরও দরকার আছে। সাধারণত গ্যাসের চুলা এবং বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর সকলের উচিত গ্যাসের লাইন, চুলা, সিলিন্ডার এবং বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করা। দরকার হলে বদলে ফেলা। তিনি বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনারোধে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকলকে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ড কখন ঘটবে সে বিষয়টি আগে থেকে অনুমান করা যায় না। তবে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও তার ইত্যাদি ব্যবহারের সময় পণ্যমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। বাড়িঘর ও কলকারখানায় অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক