বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধের শঙ্কা
নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের সর্ববৃহৎ স্থ’লবন্দর বেনাপোলে অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো থাকায় মালামাল ওঠা নামা ও ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বনদরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট। বিরাজমান জটিলতা সামাধান না হলে যে কোন সময় বন্ধ হতে পারে দু দেশের আমদানি রফতানি বানিজ্য।

 

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে ২৫ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফর্কলিফট রয়েছে একটি ও পাঁচ টনের ফর্কলিফট রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে ৪ টি দীর্ঘদিন ধরে অচল। ৪০ টন, ৩৫ টন ও ১৯ টনের ক্রেন আছে একটি করে, আর ১০ টনের ক্রেন আছে দুইটি। এসব ক্রেনের মধ্যে ৫ টি তাকে অধিকাংশ সময় অকেজো। বর্তমানে সবচেয়ে বড় ২৫ টনের ফর্কলিফটি অকেজো থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটছে মালামাল লোড-আনলোডে।

 

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরের গুদামে জায়গার অভাবে ওখান থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য ঢোকানো হচ্ছে। খালাসের অভাবে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকছে দিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন বা ফর্কলিফট মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সংকটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাড়া দিচ্ছে না। বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।

 

বন্দর ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করে বলেন, বন্দরের ড্রাইভার ও ইঞ্জিনিয়ারদের যোগসাজশে কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব ফর্কলিফট ও ক্রেন ইচ্ছাকৃতভাবে অচল করে রাখেন। মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ কেনা হয় তা অধিকাংশই পুরনো। ফলে মাস না ঘুরতেই ফের তা অচল হয়ে পড়ে।

 

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, এই বন্দর দিয়ে দেশের সিংহভাগ শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিভিন্ন প্রকল্পের মেশিনারিজ আমদানি করা হয়। ক্রেন ও ফর্কলিফট ছাড়া এ জাতীয় পণ্য বন্দরে লোড-আনলোড করা সম্ভব না। ৩৬ হাজার টন ধারণক্ষমতার বন্দরে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টন পণ্য ওঠা-নামা করা হয়। বন্দরের জায়গা ও ক্রেন সমস্যার সমাধান না করলে বেনাপোল বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরে চলে যাবেন।

 

ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগের কথা স্বীকার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুন তরফদার জানান, বর্তমানে প্রচুর পরিমান মালামাল আসছে ভারতে থেকে। সে জন্য জায়গার কিছুটা সমস্যা হচেছ। তবে বন্দরে ক্রেন ফরকলিপট এর সমস্যা আছে। আইনী জটিলতার কারনে সমস্যাগুলো হচেছ ,অচিরেই সম ধরনের সম্যষা সনমাধান করা হবে।হচ্ছে


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ