বরগুনার বেতাগীতে অগ্রণী ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধের করেও জেলে যেতে হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল হককে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাবসায়ীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থ ঋন আদালত আইনে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলায় গত বুধবার রাতে বেতাগী পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় নূরুল হকের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফ্রেরুয়ারি) সকালে বরগুনায় আদালতে প্রেরণ করে। ডেথ রেফারেন্সের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় তার আদালতে জামিন প্রার্থনা করা না হওয়ায় জেল হাজতে যেতে হয়েছে। শুক্র ও শনিবার দু‘দিন সরকারি সাপ্তাহিক ছুঁটি থাকায় আগামী রবিবার জেল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে। নুরুল হকের পরিবারের সদস্যদের দাবী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার গাফিলতির কারনে নুরুল হককে জেলে যেতে হয়েছে।
তাদের দাবি ব্যাংকের ঋন পরিশোধ ও মামলা উত্তোলণ খরচ দেওয়ার পরেও অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলমের গাফেলতির এ দায় কেন নুরুল হককে নিতে হবে? বিনা অপরাধে কেন তাকে জেল খাটতে হচ্ছে?
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভোগ্যপণ্য ঋন হিসেবে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করে। ২৩ শত টাকা মাসিক কিস্তি হিসেবে দিয়ে আসার পর এক পর্যায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭ সালে অর্থ ঋন আদালত আইনে গ্রাহক নুরুল হকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ২০২১ সালের ফ্রেরুয়ারি মাসে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা সমন্বয়ের মাধ্যমে ঋন পরিশোধ করে। ওই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় মামলা উত্তোলণ খরচ বাবদ তাৎক্ষণিক বাড়তি ৪ হাজার টাকা শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে প্রদান করা হয়।
নুরুল হকের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফেলতি ও ভুলের কারণে তাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। বিনা অপরাধে তার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণসহ তিনি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান,’ ঋন সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতারের পর বরগুনায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করে অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন,‘ এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন দায়বদ্ধতা নেই। মামলায় গ্রাহক হাজিরা না দেওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’