ঢাকা ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২২
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশালঃ গম উৎপাদনে অন্যতম প্রধান দেশ কানাডা। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশটিতে নতুন মৌসুমের গম ঘরে তোলা শুরু হবে। গমের আবাদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকার অন্যান্য দেশেও গম কাটা শুরু হবে ওই মৌসুমে। তাই তখন বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দামও কমা শুরু হবে। কমে আসতে পারে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশনের সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘গম প্রক্রিয়াকরণ, মান যাচাই ও বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সিরিয়ালস কানাডা’ নির্দেশিকার আনুষ্ঠানিক মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এনজেলা ডার্ক। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন সিরিয়ালস কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডিয়েন ডিয়াস, পরিচালক ড্যানিয়েল র্যামেজ, তিন ব্যবস্থাপক- ইউলিয়া বারসুক, রবার্ট কাবরাল, ক্রিস্টিনিয়া পিজি প্রমুখ।
বিশ্ববাজারে গমের দর বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যায় বক্তারা বলেন, গত মৌসুমে খরার কারণে কানাডসহ অন্যান্য দেশে গমের উৎপাদন ব্যাপক হারে কম হয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতাও দরবৃদ্ধির জন্য দায়ী। সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ খাদ্যশস্যের বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে পূর্বাভাস বলছে, আগামী মৌসুমে আবহাওয়া অত্যন্ত অনুকূল থাকবে। ফলে গমের উৎপাদন অনেক বেশি বাড়বে। সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে দর কমে আসবে বলে মনে করেন তারা। গম উৎপাদন এবং রপ্তানিতে অন্যতম প্রধান দেশ কানাডা।
বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গম আমদানি করে কানাডা থেকে। দেশটির গমের সপ্তম বৃহৎ আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে আট লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে কানাডা থেকে। বাংলাদেশে গম এবং অন্যান্য খাদ্যশস্যের বাজার আরও বাড়াতে চায় কানাডা। এ উদ্দেশ্যেই বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় নির্দেশিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব থেকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের। এ বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই কৃষি পণ্যভিত্তিক।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক