সারাবাংলা

বাল্য বিয়ে করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

By admin

November 02, 2020

 

৯ম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি ৩য় বারের মত বিয়ের পিড়িতে বসায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ঘটনাটি জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের। সরকার বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার পরও একজন ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই কিভাবে বাল্য বিয়ে করতে পারেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের দোলন গ্রামের প্রতিবন্ধি বাচ্চু মিয়ার ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বন্নি আক্তারের উপর নজর পড়ে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে মেয়েটির পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের সাথে তার বিয়ে দেন।

 

ব্যক্তিগত জীবনে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের এক স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এর আগেও তিনি আরো একটি বিয়ে করেছিলেন সেটিও বেশিদিন টেকেনি। চেয়ারম্যানের ৩য় বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

 

এদিকে, একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বাল্যবিয়ে করলেও প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “যেহেতু বাল্য বিবাহ হয়ে গেছে, সেখানে মোবাইলকোর্ট করার সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”