ঢাকা ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চল দক্ষিন ভূতেরদিয়া নতুন চর এলাকায় সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ছিল দক্ষিন ভূতেরদিয়া নব আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ অঞ্চলের অবহেলিত জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষানুরাগি জমি দানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়রা এলাকায় কাঠ,বাশ ও টিন উত্তলন করে একটি স্কুল ঘর নির্মানের মাধ্যমে চর এলাকার কিছু শিক্ষার্থীদের পাঠ দান শুরু করেন।
পরবতির্তে ২০১৩ সালের পহেলা জুলাই ২য় ধাপে জাতীয় করনের পর বিদ্যালয়টির নাম দেয়া হয় ১৩০ নং দক্ষিন ভূতেরদিয় নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু জাতীয় করণের ৮ বছর পার হলেও বিদ্যালয়টি রয়ে গেছে অবহেলিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কোন পাকা ভবন না হওয়ায় জরাজির্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে কাঠ-বাঁশের তৈরী ঘরটি। সৌচাগার ও গভীর নলকূপ না থাকায় বিপদে পরতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমন এড়াতে সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টি খুললেও নির্দিষ্ট শ্রেণী কক্ষে পাঠ দান দেয়া সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘ বন্ধের পর রবিবার শিক্ষার্থীদের রাস্তার উপর পাঠ দান দেওয়া হয়েছে। রাস্তার উপর পাঠদান পরিদর্শনে গিয়েছেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রোমান্স আহাম্মেদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী চর এলাকায় হওয়ায় শ্রেণীকক্ষ ও যাতায়াতের পথ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু শিক্ষার্থী কলাগাছের ভেলায় চরে বিদ্যালয়ে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের নামে ৭৪ শতাংশ জমি রয়েছে। জমিটি নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের তিন মাস পানির নিচে থাকে শ্রেণী কক্ষ। জোয়ারের পানি নেমে গেলেও জরাজির্ণ শ্রেণী কক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখা কষ্টসাধ্য হয়। জাতীয় করণের ৮ বছর পার হলেও কোন ধরণের উন্নয়নের ছোয়া না লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীতে শতাধীক শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম খান বলেন, অবহেলিত চর এলাকার শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। সকল প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে আমরা পাঠদানের কাজটি চালিয়ে যাচ্ছি। তবে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন বরাদ্দ না পেলে এখানের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ে গভির নলকূপ ও সৌচাগার না থাকাটা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিরক্তিকর এবং পিড়া দায়ক। এই অবহেলিত জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে হলেও দ্রুত বিদ্যালয়টি উন্নয়নে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবর কবির বলেন, বাবুগঞ্জের ১৩৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩০নং দক্ষিন ভূতেরদিয়া নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিন ও কাঠের তৈরি।
নদী পারের ওই এলাকার পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমরা ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে একটি সাইক্লোন সেল্টার চেয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। আশা করছি অতি তারাতারি বিদ্যালয়টির অবকাঠামোর উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক