শিরোনাম

বানারীপাড়া ও মুলাদীতে বিদ্রোহী ঠেকাতে হিমশিম আ’লীগ

By admin

February 12, 2021

 

বরিশাল : বরিশালের বানারীপাড়া এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪টি নির্বাচনের সবকটিতে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হন। আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী ছিল এ পৌরসভায় অপ্রতিরোধ্য। সেই ধারাবাহিকতার ছন্দপতন ঘটেছে রোববার অনুষ্ঠব্য বানারীপাড়ার পঞ্চম পৌর নির্বাচনে।

 

এ নির্বাচনে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধ করতে হচ্ছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীলকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিস্কৃত) জিয়াউল হক মিন্টু নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্ধিতা গড়ে তুলেছেন। একই অবস্থা জেলার মুলাদী পৌরসভায়ও। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টুসহ একাধীক নেতাকে বহিস্কার করেছে দলটি।

 

বানাড়ীপাড়ার স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকদের বড় একটি অংশসহ স্থাণীয় এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টুর পক্ষে থাকায় নৌকা প্রতিকের প্রধান প্রতিদ্বদ্বি হয়ে উঠেছে নারিকেল গাছ প্রতীক। এ অবস্থায় মাঠ সামলাতে একের পর এক বহিস্কার করেও বিগত চারটি নির্বাচনের মতো একছত্র আধিপত্য ধরে রাখতে ব্যার্থ হয়েছে আওয়ামীলীগ।

 

সুত্রগুলোর দেয়া তথ্যমতে, বিএনপির প্রার্থী রিয়াজ মৃধার (ধানের শীষ) নামমাত্র প্রচার-প্রচারে থাকা এবং স্থানীয় কোন্দলে নেতাকর্মীদের একাংশ দলীয় প্রার্থীর না থাকারও সুবিধা পাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু। বিএনপির এ অংশটির ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু পাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

 

মিন্টু অভিযোগ করেন, তাকে নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা দেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে গত এক সপ্তাহ যাবত তিনি ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এসব বিষয় তুলে ধরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

 

অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী রিয়াজ মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রচারনায় নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকায় বহিরাগতরা অবস্থান করছেন।

 

তবে এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে নৌকার প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন, তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নন। নির্বাচন কমিশনও তাদের অবহিত করেননি। ভোটের পরিবেশ ভাল আছে বলে জানান তিনি।

 

অপরদিকে মুলাদী পৌর নির্বাচনে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেল। তার গলার কাটা বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম খান।

 

আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিদারুল আহসান খান অভিযোগ করেন, তার কর্মীদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না নৌকার মেয়র প্রার্থী রুবেল। বুধবারও হামলার শিকার হয়েছে তার অনুসারীরা। নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোন প্রতীকের দিকে জোয়ার ঠেকাতে এখন বহিস্কার চলছে। শোনা যায় তালিকায় আরও ১০-১২জন ত্যাগী নেতা রয়েছেন। যেকারনে অনেকেই ভয়ে ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন।

 

দিদারুলের দাবী, নেতাদের চাওয়া পাওয়ার মুল্যয়ন না করে এভাবে ঢালাওভাবে বহিস্কার করায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

 

তবে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, দলের বিরুদ্ধে একটি মহল অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা আ’লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

 

এব্যপারে পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: নুরুল আলম বলেন, তিনি কয়েকটি অভিযোগ পেয়ে আমলে নিয়েছেন। ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক ও এসপিকেও অবহিত করা হয়েছে।