পটুয়াখালী

বাউফলে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালালো শ্বশুর বাড়ির লোকজন!

By admin

October 02, 2020

 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত বৃহস্পতিবার রাতে মোসা. শাহীনুর বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ ফেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে রাতেই ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার ওই লাশ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই গহবধু উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. জুয়েল খান (২৮) এর স্ত্রী ও একই গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির সরদারের মেয়ে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শাহীনুরকে বৃহস্পতিবার রাত সাতটা বিশ মিনিটের সময় বদিউল আলম নামে তার চাচা শশুর পরিচয়ে এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করলে গাড়ি আনার কথা বলে তিনি সটকে পড়েন। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে শাহীনুরের স্বজন ও পুলিশ এসে তার লাশ নিয়ে যান।

 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।’

 

নিহত গৃহবধুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে শাহীনুর প্রেম করে বিয়ে করেন বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম খানের ছেলে মো. জুয়েলকে। তাদের সংসারে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান ও চার মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জুয়েল ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

 

শাহীনুরের ফুফু মোসা. রওশন আরা (৪৫) বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে শাহীনুর স্ট্রোক করেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে শাহীনুরের লাশ দেখতে পাই। মৃত্যু ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা করেছে।’

 

তিনি অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই শাহীনুরকে তার শাশুড়ী মিনারা বেগম (৫০), ফুফু শাশুড়ী মমতাজ বেগম (৪৫), ননদ নাসিমা বেগম (৩০) ও মাকসুদা বেগম (৩৫) যৌতুকের জন্য কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন। শাহীনুর আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আর যদি আত্মহত্যাই করে তাহলে ওদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যই আত্মহত্যা করেছে।

 

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর আত্মহত্যা করে থাকলেও কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’