ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসেব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৩ মার্চ ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদক কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণী দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। উত্তরপত্র জালিয়াতি করে শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবেরদ জন্য যাদের তলব করা হয়েছিল তারা হলেন- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একে আজাদ ফারুক, উচ্চমান সহকারী সুজাতা স্বর্ণকার, অফিস সহকারী গোবিন্দ চন্দ্র পাল, অফিস সহকারী মনির হোসেন এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী শংকর ও নিতাই।
এর আগে গত ১৪ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশালের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ওই সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গত ২৩ মার্চ দুদক কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জালিয়াতি করে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের। এছাড়া অভিযুক্তদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। পরে তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সাত কার্যদিবস সময় দেয় দুদক।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস বলেন, সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক। এ জন্য সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মব্যস্ত হওয়ায় বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য আরও একটু সময় চেয়েছে তারা।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, দুদক কার্যালয়ে জালিয়াতির বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা কিছু জানতে চায়নি। তবে তারা সম্পদ বিবরণী চেয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক