ঢাকা ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২২
বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক:: আধুনিক সাজসজ্জা, নির্মাণশৈলি ও প্রযুক্তির ব্যবহার। আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য রয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। ওঠানামার জন্য আছে ক্যাপসুল লিফট।
নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা, শিশুদের জন্য বিনোদন স্পেস, ফুডকোর্ট, ফার্মেসি, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক এবং উন্মুক্ত ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা। একজন কমান্ডারের নেতৃত্বে অন্তত ছয়জন সশস্ত্র আনসার সদস্য নিরাপত্তায় দায়িত্বে নিয়োজিত।
বলা হচ্ছে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কথা। সমুদ্রগামী বড় জাহাজের আদলে তৈরি লঞ্চটিতে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে রাখা হয়েছে নানা ব্যবস্থা। নতুন এই লঞ্চটিতে রয়েছে আধুনিক জিপিএস সিস্টেম। এর ফলে ক্যাপ্টেন সবকিছু বিবেচনা করে লঞ্চটিকে নিরাপদ গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন। লঞ্চটি চলবে হাইড্রলিক পদ্ধতিতে। এর রাডার ব্যবস্থা কুয়াশার মধ্যেও লঞ্চটিকে নিরাপদে চলতে সাহায্য করবে।
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চালু হতে যাচ্ছে এই আধুনিক ও বিলাসবহুল চারতলা লঞ্চ। লঞ্চটি নির্মাণ করেছেন দেশের অন্যতম নৌযান প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন নেভিগেশন কম্পানি। লঞ্চের নাম রাখা হয়েছে এমভি সুন্দরবন-১৬। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-পথে এই কম্পানির আরো ৯টি লঞ্চ চলাচল করছে। তবে সুন্দরবন-১৬ লঞ্চটির আধুনিক সাজসজ্জা, নির্মাণশৈলি ও প্রযুক্তি অন্য লঞ্চগুলোকে হার মানাবে বলে মালিকপক্ষ দাবি করেছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) লঞ্চটি উদ্বোধন করা হবে।
সুন্দরবন নেভিগেশন কম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আগের লঞ্চগুলোর চেয়ে এটা আলাদা। আগে ডেকের যাত্রীদের বিষয়টি মাথায় রেখে লঞ্চ নির্মাণ করা হতো। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের ফলে ডেকের যাত্রী কমেছে। কিন্তু প্রথম শ্রেণির যাত্রী কমেনি। মূলত, প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কেবিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। যাতে করে এক শ্রেণির যাত্রী সবসময় লঞ্চে যাতায়াত করেন। লঞ্চ আরো রাতে ছাড়া যায় কিনা সেটা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক