ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৩
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর একটি মসজিদে মোবাইল দেখে তারাবি নামাজ পড়ানোর ঘটনায় এলাকায় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই ইমামকে বাদ দিয়েছেন। পরে নতুন একজন ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করেছেন।
বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোড বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার একাধিক মুসল্লি জানান, মসজিদের হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মসজিদ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রমজানের পবিত্র তারাবি নামাজ যদি মোবাইল দেখে দেখে পড়ান সেটা মুসল্লিদের জন্য লজ্জাজনক।
বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের এক মুসল্লি হাফিজ বলেন, বিষয়টি দ্বিতীয় রমজানের রাতে তারাবি নামাজের সময় অনেকেরই চোখে পড়ে। পরে তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে এলাকাবাসী। ভিডিওটি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাফেজ জাকির হোসেন ওই মসজিদের ইমাম ফারুকের মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। তাই তারাবির জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে মসজিদের ইমাম ফারুক বলেন, হাফেজের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর বিষয়টি সত্যি। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তারাবির জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ৮/১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মেধার মূল্যায়নে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী বলেন, তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে মসজিদ কমিটির কেউ ছিলেন না। মসজিদের ইমাম ও এলাকার বড় একটি মসজিদের ইমাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক