বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ: ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২২

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ: ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালে গণসমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। সড়ক পথে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। রোববার বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।

 

 

তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির এসব অভিযোগকে স্ট্যান্টবাজি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির দলনেতা হাবিব-উন নবী সোহেল বলেন, এই মুহূর্তে (রোববার) নলছিটিতে তাদের নেতাকর্মীদের দোকান ও বাড়িতে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। বাকেরগঞ্জে জনসভায় আসার সময় ৫০ জন আহত হয়েছেন। বরগুনার আমতলীতে গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। দৌলতখান, লালমোহনে নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। জনসভার দিন নিহত রহিমের পরিবার বরিশালে আসার সময় বাধা প্রদান করা হয়। ভোলায় গুলিবর্ষণও করা হয়েছে। পটুয়াখালীতে অফিস ভাংচুর এবং দশমিনায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এক নেতাকে। দুমকি উপজেলায় প্রশাসন আটকে দিয়েছে বিএনপির মিছিল। পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা শাহজাহান খানের ওপর হামলা করা হয়।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে- গৌরনদীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের গাড়িতে হামলা করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন। সমাবেশে আসার পথে ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা করা হয়। উল্টো তাদের ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

 

একইভাবে গৌরনদীর মাহিলারা বাজারে হামলা করা হয়েছে। তাদের মহিলা দলের সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে ঢাকায় যাওয়ার পথে সদরঘাটে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার শিকার হয়েছেন বানারীপাড়া, উজিরপুরের নেতাকর্মীরাও।

 

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ বলেন, গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার নাম বারবার আসছে। কারণ গৌরনদীতে এমন শক্তি রয়েছে যাদের সঙ্গে সরকারের আত্মীয়তার সম্পর্ক। যে কারণে ওখানে সংঘাতের মাত্রা বেশি। ফেনীর মতো ওখানেও গডফাদার আছে। তিনি জানতে চান রাস্তা কী কারো পৈতৃক সম্পত্তি? রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কেন গৌরনদীতে হামলার শিকার হবেন নেতারা। তারা মামলা করতে চাইলেও নেয়নি।

 

 

তিনি দাবি করেন, গণসমাবেশ ঘিরে তাদের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের অনেকে শেবাচিম হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন।

 

 

অপর এক প্রশ্নে বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ বলেন, গণসমাবেশ প্রস্তুতি মিডিয়া উপকমিটির কার্যক্রমে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এ বিষয়টায় ভবিষ্যতে সচেতন হব। দলের পক্ষ থেকে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

 

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির এবং সাবেক এমপি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ প্রমুখ।’


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ