দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ নেতাকে একযোগে বহিষ্কার করেছে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে এরা দলের সঙ্গে বেঈমানি করছে। যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা দলের থেকে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেন। এদের মধ্যে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে আবার কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। ফলে দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তালুকদার মো ইউনুস বলেন, বহিষ্কৃতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পন্ডিত সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, ফারুক সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সিকদার, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, সদস্য মজিবুর রহমান শরীফ, ইউসুফ আলী, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজেম আলী হাওলাদার, সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম (ইতালি শহিদ), বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন পান্না, দাড়িয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাছের আহম্মেদ বাচ্চু, গারুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন তালুকদার মিন্টু, কলসকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম তালুকদার এবং বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থনকারী বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মীর, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মনির খান, ইসমাইল বেপারী, ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুর রব বেপারী।