বরিশালে ‘ইন্সট্যান্ট নুডুলস’ কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নামে শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চাকরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল কিনে দেওয়ার কথা বলে অধিকাংশের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে পালিয়েছে চক্রটি। ভূক্তভোগীরা রোববার নাজিরপুল সংলগ্ন চন্দ্রদ্বীপ ভবনের সাত তলার অফিসে গেলে দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে রোববার বিকেলে ইন্সট্যান্ট নুডুলসের কর্মকর্তা আবু বক্কর ও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভূক্তভোগীরা জানান, ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে ওই অভিযোগ যোগাযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। এসময় চাকরি পেতে হলে দামী ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন থাকার শর্ত জুড়ে দেন। যাদের এসব নেই তাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করে। পরে রোববার অফিসে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি আচ করতে পারেন ভূক্তভোগীরা।
ভবন মালিক ও দায়িত্বরত দারোয়ান জানান, গত একমাস আগে আবু বক্কর ও শহিদুল ইসলাম নুডুলস কোম্পানির নামে ফ্লোর ভাড়া নেয়। এখন তাদের অফিস ও মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আবু বক্কর মাদারীপুর জেলার ষোলপুর উপজেলার ফারুক হোসেনের ছেলে ও শহিদুল টাঙ্গাইল জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ফানু মিঞার ছেলে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত শেষে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ভূক্তভোগীরা দাবি করেছেন, ৬০ চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ১০, ১২ ও ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে চক্রটি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।