বরিশালে ইউএনও’র মামলায় আটক নেতাদের জামিন

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

 

ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় আওয়ামী লীগের আরও ১২ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত মোট ২১ আসামিই জামিন পেলেন।

 

বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের ১০ হাজার টাকার বন্ডে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।

 

তিনি বলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসুদ বাবলুর এবং আমার জিম্মায় ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

গত ২৯ আগস্ট দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। আজ শুনানি শেষে ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

 

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. অলিউল্লাহ্, মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, লিটন ঘোষ, মো. রফিকুল ইসলাম রাকিব, শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়া বাবু, সাহিনুর ইসলাম শাহীন, হারুন-অর-রশিদ ও মো. মিরাজ গাজী।

 

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ওই দুই মামলায় ইকতিয়ার উদ্দিন, আব্দুল সালাম মনু, আলো গাজী, মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, হুমায়ুন হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের (৯ আসামি) জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

 

এ নিয়ে ইউএনও এবং পুলিশের মামলায় জামিন পেলেন আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মী।

 

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।

 

এ মামলায় আসামি হিসেবে ২১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া বিসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২। গত ২২ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত ১৮ আসামির জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

 

ওই দিনই ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। পরে আদালত পিবিআইকে মামলার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও একই দিন রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় ১৮ আগস্টের ঘটনায় সিটি মেয়র ও প্রশাসনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়।

 

এর ফলে ২২ আগস্ট সিটি মেয়র, প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতকর্মীদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, সে সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তালুকদার মো. ইউনুস।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ