বরগুনায় মসজিদ উন্নয়নের টাকা তুলে নিলেন চেয়ারম্যান!

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

বরগুনায় মসজিদ উন্নয়নের টাকা তুলে নিলেন চেয়ারম্যান!
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরগুনা : বরগুনার বেতাগীতে মসজিদ কমিটির সভাপতি সেজে মসজিদের নামে এলএ সেকশন থেকে বরাদ্দকৃত ৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ গোলাম রব শুক্কুর মীর। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

জানা যায়, বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে তালবাড়ি গ্রামের সিকদার বাড়ি জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা সত্ত্বেও মসজিদ কমিটির ভুয়া সভাপতি সেজে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মসজিদ স্থানান্তরের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ০৪/১৫-১৬ নং এলএ কেসের বিধি মোতাবেক ১৭১ নং ক্রমিকের বরাদ্দকৃত ৬ লাখ ৬৯ হাজার ২৬১ টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। যার সমুদয় টাকা কোনো কাজ না করে পকেটস্থ করেন তিনি। যার চেক নম্বর- ০৪৩৭২১ (তারিখ, ৩ অক্টেবর ২০১৯)।

 

সংশ্লিষ্ট নোটিশে বলা হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরগুনা (ভূমি হুকুম দখল শাখা) অধিগ্রহণ মামলা নং ০৪/১৫-১৬ ক্রমিক নং ১৭১ ফরম (গ) ৬ বিধির উপ-বিধি দ্রষ্টব্য নোটিশে ৭ ধারার অধীনে প্রাপক সভাপতি মসজিদ কমিটির সভাপতি সোবাহান, পিতা মোজাফফর আলী ১৯৮২ সনের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ ১৯৮২ সনের ২ নম্বর অধ্যাদেশ এর ৭ ধারার (৩) উপ-ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রদান করেন। উপরোক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণ মামলায় স্বার্থবান ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গ বলে গণ্য হয়। মতানুসারে নিম্নবর্ণিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে মর্মে নোটিশে আরো উল্লেখ থাকে যে, ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে কমিটির সভাপতিকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

 

স্থানীয়দের সহায়তায় তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এই টাকা বরাদ্দের বিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দৈয়দ গোলাম রব শুক্কুর মীরের কাছে মসজিদের সভাপতি সোবাহান পরামর্শ নিতে গেলে তিনি পরামর্শ বা সুপরামর্শ না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই গোপনে মসজিদের ভুয়া কমিটির সভাপতি সেজে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে ওই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা মসজিদ ফান্ডের জন্য ওই বরাদ্দ অর্থ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম রব শুক্কুর মীর বলেন, আমি টাকা উত্তোলন করেছি এবং যে সকল কাজে টাকা খরচ করেছি তার ভাউচার আমার কাছে আছে। খরচের পর বাকি টাকা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা আছে। তবে তিনি ওই মসজিদের সভাপতি কিনা এ বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যান।

 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তার তদন্ত চলছে। অতিশিগগিরই এর প্রতিবেদন পাবো এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ