বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক ওসি বশিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওসির বিরুদ্ধে বামনার খোলপটুয়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়ার বোন শাহানা বেগম বরগুনার পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় পুলিশ কমিশনারের (ডিআইজি) কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার খোলপটুয়া বাজারে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিকের কাছ থেকে ওসি বশিরুল আলম কিছু ইলেকট্রিক পণ্য ক্রয় করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ওসি নিম্নমানের তার বিক্রির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী রাসেলকে থানায় ডাকেন। পরে স্বজনেরা থানায় গেলে ওসি বলেন, রাসেল নিম্নমানের তার বিক্রি করেন। ওকে এখন কোর্টে চালান দেওয়া হবে। এসব ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা রাসেলের স্বজনের কাছে ঘুষ দাবি করেন ওসি।
স্বজনেরা কোনো উপায় না পেয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে আনেন। পরদিন রাসেল জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর ওসি ঘুষের ২০ হাজার টাকা রাসেলকে ফেরত দিয়ে দেন।
ব্যবসায়ীর বোন শাহানা অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘুষ ফেরত নেওয়ায় ওসি বশিরুল আলম আমার ভাই রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। পরে পূর্বশত্রুতার জের কাজে লাগিয়ে গত রোববার আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলে ওসি একটি মিথ্যা অভিযোগ দেখান। ওই অভিযোগে আমার ভাইকে থানায় ডেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি। শুধু তাই নয়, টাকা না দিলে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেন।’
শাহানা বেগম আরও বলেন, ‘ওসি বশিরুল আলম আমার ভাইসহ পরিবারের সবাইকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন। আমরা তাঁর হুমকির ভয়ে কিছু করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে আমি অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে ওসি বশিরুল আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে।’
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।’