ঢাকা ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বরগুনার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া উপকুলীয় এলাকা পায়রা ও বিশখালী নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় ধরণের আঘাত আনতে পারে। এজন্য উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে বলেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী। তবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে জেলাপ্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে।
এদিকে, ২০০৭ সালের সিডরের পর থেকে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর এলেই বরগুনার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রতি বছরই দুর্যোগের কবলে পড়ে সর্বশান্ত উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
সাংবাদিক হাসান ঝন্ঠু বলেন, শুক্রবার থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, মোখার প্রভাবে বরগুনা উপকূলীয় অঞ্চল নিরাপদ থাকবে। ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে। মজুত রাখা আছে টাকা, চাল, টিনসহ শুকনো খাবার। তবে উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার আকাশ মেঘাছন্ন দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলে সহজ সবাইকেই নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
আজকের আবহাওয়া অধিদফতর বুলেটিন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, মোখা উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক