ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ৩ দিনের রিমান্ড

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীর কাফরুল থানায় করা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রনপ কুমার ভক্ত সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
এসময় আসামি শামীমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে আসামি নিজে আদালতে কথা বলেন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে বিচারক তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এর আগে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে আসামি শামীমকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় এ মামলা করেন সিআইডি পুলিশ। এর আগে রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় আরও গ্রেফতার হয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন রাতে শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরও সাতজন।

এরপরে ঢাকার সিআইডি পুলিশ বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ