পটুয়াখালী

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছেলেকে গুম করলেন বাবা

By admin

January 31, 2021

 

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে সাজানো অপহরণ ও গুমের মামলায় ফেঁসে গেছেন বাদী আজগর আলী (৫০)। পূর্বশত্রুতায় নিজের ছেলে (ভিকটিম) মিজানুর রহমানকে (১৭) গোপন রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

 

গত বছরের ২৯ আগস্ট পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আজগর আলী।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাফরের প্রচেষ্টা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে কয়েক দফা অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর নিকটাত্মীয়ের বাসা থেকে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। এর মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়। ভিকটিম উদ্ধারের পর থেকেই মামলার বাদী আত্মগোপন করেছেন।

 

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার দুমকি গ্রামের মৃত আমজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে আজগর আলী হাওলাদার (৫০), একই উপজেলার লেবুখালী গ্রামের প্রতিপক্ষ আনোয়ার প্যাদা (৫০), দেলোয়ার প্যাদা (৪৫), আরিফ প্যাদা (২২), রাহাত প্যাদা (২০) ও শাহজাহান প্যাদার (৫৫) বিরুদ্ধে নিজের ছেলেকে (ভিকটিম) গোপন রেখে মিথ্যা অপহরণ ও গুমের মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি দুমকি থানায় এজাহারভুক্ত করে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

 

১৯ সেপ্টেম্বর দুমকি থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করে প্রথমে এসআই জুয়েল পাল পরবর্তীতে এসআই জাফরকে হাওলা করে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার ও দুমকি থানার ওসি মেহেদী হাসানের নির্দেশনায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাফরের নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকার উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ ও সর্বশেষ পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন।

 

দুমকি থানার পুলিশ হেফাজতে উদ্ধারকৃত ভিকটিম মিজানুর রহমান অপহৃত বা গুম হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি দেন। তিনি জানান, তিনি (ভিকটিম) তার বাবার নির্দেশে নিজেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিলেন।

 

এসআই জাফর বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হলো বাদী আসামিদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সাজানো গুমের মামলাটি করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

দুমকি থানার ওসি মো. মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাদীর বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।