দেখছি বিস্মিত নেত্রে ঐ গন্ধরাজ, কতইনা মাদকতাময় তার সুবাস!
সে যেন এক বলিয়ান,বীর তরুণ, যারে দেখিয়া অন্তরে হয় আলোড়ন! কিবা এক মায়া কাড়া রূপবতী, যার দর্শনে আছে লুকোনো প্রীতি!
অপরাহ্নে আবার যবে দেখতে গেলাম তারে, তাজ্জব বনে গেলাম এ কেমন খেলারে? প্রভাতে যারে দেখিয়া হয়েছিলাম মাতাল, এটুকু সময় না যেতেই একি তার হাল?
তার পাপড়িগুলো কতক দিয়েছে উড়াল, কতক তো মৃত্তিকায় পড়ে পদতলে নাজেহাল। বৃক্ষ কান্ডে তার কঙ্কালসার দেহ, চোখ বুজে স্মৃতি পাতা উল্টোচ্ছে যেন।
এমনই তো জীবনধারা প্রতিটি মানবের, তরুণ বয়সে তেজ থাকে সবের ঢের। মর্ত্য তাদের হুঙ্কারে থাকে কম্পিত, সমাজ তাদের হাতেই হয় বিবর্তিত।
আচমকা সন্ধ্যা নেমে হয় এসবের যবনিকাপতন। যৌবনের দম্ভ রজনী হয়ে যায় বিস্মৃত রতন। অতীত তরুণদের কেউ তো মিশে যায় মৃত্তিকায়, কেউ বা ঠিকরে পৌছে যায় বার্ধক্যের সীমানায়।
যৌবন নিয়ে করোনা বড়াই,চিরন্তন নয় তা, বাগিচায় ফোটা আর ঝরা পুষ্প যার উপমা।