লিড নিউজ

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ১০ শিশুর মৃত্যু!

By admin

November 29, 2022

 

বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: এ বছর শীত শুরু হতেই পাবনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অবস্থা বেশ ভয়াবহ।

 

 

গত এক মাসে এ দুই ওয়ার্ডে রোগীর ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছেন প্রায় ২৫০। শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি আছে ৯২; ৮৫ জন ভর্তি আছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১০।

 

 

হাসাপাল সূত্র বলছে, মৌসুমের শুরুতে এত রোগীর চাপ ভালো লক্ষণ নয়। অধিক রোগীর চাপ সামলাতে বেশ হিমসিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের। সেবাগ্রহীতা রোগী ও তাদের স্বজনরাও বিপাকে পড়েছেন। ওয়ার্ডগুলোয় শয্যা সংখ্যা রোগীর তুলনায় কম। যে কারণে তাদের মেঝে বা বারান্দায় সেবা নিতে হচ্ছে।

 

 

এসব ব্যাপারে কথা হলে হাসপাতালে দায়িত্বরত কজন নার্স জানান, শীত শুরু হতেই যেভাবে রোগীর ভর্তি শুরু হয়েছে, তাতে করে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কলেরার স্যালাইন সরবরাহ ছিল না। এ ওয়ার্ড দুইভাগে বিভক্ত। একটি পরিচালিত হয় মেডিসিন থেকে, অপরটি শিশু বিভাগ থেকে। নার্সরা নিয়ম অনুসারে সেবা দিয়ে থাকেন।

 

গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন

 

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আম্মিয়া পারভীন, ১০ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের অবস্থা আগে থেকেই খুবই সংকটাপন্ন ছিল। সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে অনেক চেষ্টাও করেছে।

 

 

সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে পাবনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসলে পাবনায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হওয়া দরকার। আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে শয্যার তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি। দৈনিক ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি আছে। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েকদিন বেশ চাপ ছিল। এখনও শয্যার চেয়ে চারগুণ বেশি রোগী রয়েছে।

 

 

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে যে সংকট রয়েছে, সেটি মোকাবিলায় আমরা সচেষ্ট। সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে আমরা সেভাবে করার চেষ্টা করছি। রোগী বা তাদের স্বজনদের অভিযোগও ফেলে দেওয়ার মতো নেই। স্বল্প সরবরাহ দিয়ে রোগীর সেবা করা কঠিন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।