পাবনায় আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ১২

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আসন্ন উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুুপরে পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ঈশ্বরদীতে আয়োজিত ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুরু আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, পাবনা-৪ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন কে অভ্যর্থনা জানাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন দলীয় নেতারা।

 

অভ্যর্থনায় সামনে থাকাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর রেশ ধরে তাৎক্ষনিকভাবে পৌর আওয়ামীলীগের এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

 

এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার ছুঁড়ে একে অপরের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তাদের থামাতে ব্যার্থ হন। পরে এই সংঘর্ষ দফায় দফায় অন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের মধ্যেই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন লাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে রনি হোসেন। তাদের দু’জনকে প্রথমে পাবনা ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

সংঘর্ষ ও ছুরিকাঘাতে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা, আওয়ামী লীগ নেতা আবু কালাম, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার মালিথা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির মালিথা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লবসহ ১২ জন আহত হয়। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

সংঘর্ষের বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এ ঘটনা নৌকার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভ করার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।

 

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্টু ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

এ ঘটনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার সঙ্গে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দীন জানান, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। শহরে পুলিশ মোতায়েন ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ