পাকিস্তানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কাল

প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

পাকিস্তানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কাল
নিউজটি শেয়ার করুন

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার পাকিস্তান সরকার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ধাপেধাপে খোলার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটিতে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে।

 

পাকিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশটির সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। একইসঙ্গে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে একইদিন।

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, আগামীকাল স্কুলে ফিরবে লাখ লাখ শিশু। সব শিশু যাতে নিরাপদে গিয়ে স্কুলে শিখতে পারে সেটা নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার এবং সবার দায়িত্ব। কোভিড-১৯ এর কারণে যে জনস্বাস্থ্য বিধি আছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্কুলের কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কাজ করেছি আমরা।

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ শিক্ষাদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তার সরকার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউরস প্রস্তুত করেছে বলেও জানান ইমরান খান।

 

করোনার কারণে গোটা বিশ্বের বহু ছাত্রছাত্রী এখন স্কুলে যেতে পারছে না। ইউরোপে স্ক্যানডিনেভিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সাহস দেখায় ডেনমার্ক। কঠোর স্বাস্থ্য বিধি প্রণয়ন করে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়। ২ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য গত ১৫ এপ্রিল থেকে স্কুল খুলে দেয়া হয়। সুইডেন, ইজরায়েল, জাপান, ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডে স্কুল খুলেছে।

 

গত ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মাহমুদ প্রায় ৩ লাখ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেন। তবে করোনার আরেকটি ঢেউ ঠেকাতে ধাপে ধাপে স্কুল খোলা হবে বলেও জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, আসন্ন ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সরকারের এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা হবে।

 

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২ হাজার ২০ আক্রান্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ জন।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ