আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ লেবাননে ব্যাপক সরকার-বিরোধী গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের এক বছরের মাথায় আবারও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাদ হারিরি। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
সুন্নি মুসলিম রাজনীতিক হারিরির জন্য এটি হবে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন। তিনি দ্রুতই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে দেশকে গভীর সংকট থেকে বের করে আনা যায়।
১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর লেবানন এখন সবচেয়ে সংকটময় সময় পাড়ি দিচ্ছে। দেশটিতে ব্যাংকিং, মুদ্রা সঙ্কট, রাষ্ট্রীয় ঋণ এবং দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
হারিরির প্রধানমন্ত্রী হওয়া বিক্ষোভকারীদের জন্য পরাজয় হতে পারে। পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভে নামা মানুষেরা হারিরিকে রাজনৈতিক শ্রেণির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা এবং সংকটের জন্য দায়ী করে আসছে।
নতুন সরকার গঠনে সমঝোতার জন্য কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের পর বৃহস্পতিবার হারিরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। হারিরিকে সমর্থন জানিয়েছে ফিউচার লেজিসলেটর, শিয়া আমাল পার্টি, ড্রুজ রাজনীতিক ওয়ালিড জুমব্লাটের দল।
প্রভাবশালী শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তারা কাউকে মনোনয়ন দিচ্ছে না। তবে তারা এই প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবে।
এর আগে ২০০৯ সাল থেকে তিনবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন হারিরি। তবে জনগণের বিক্ষোভের মুখে গত বছরের ২৯ অক্টোবর পদত্যাগ করেছিলেন হারিরি।