ঢাকা ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলের টর্চের আলোতে একজন এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির (জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ) রোগীর সফল অস্ত্রোপচার করেছেন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একজন চিকিৎসক। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের অপারেশন থিয়েটারে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন ডা. জাকিয়া সুলতানা, ডা. তানিয়া আফরোজ, ডা. হাবিবুর রহমান, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরা।
ওই রোগীর নাম মানসুরা। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই এলাকায়। তার স্বামীর নাম মো. আলতাফ গাজী। মানসুরা দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ডা. জাকিয়া সুলতানা।
জানা যায়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে জেনারেটর সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয় শত শত রোগীকে। গত দুই দিন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমন অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে করে সাময়িক সময়ে অন্ধকার থাকলেও অপারেশন থিয়েটাররে থাকা চিকিৎসকদের মুঠোফোনের লাইট ও একটি টর্চলাইট দিয়ে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম শুরু করেন। পরে সফলভাবে অস্ত্রোপচারও করা হয়। এর ফলে ঝুঁকিতে থাকা রোগীর জীবন বেঁচে যায়।
ডা. জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাচ্চাটি নরমাল জায়গায় না হয়ে অন্য জায়গায় হয়েছে। এজন্য প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বেশি রক্তক্ষরণ হলে রোগী অসুস্থ হয়ে যায়। এই ধরনের রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হয়। তারপর তারা যখন বুঝতে পারে গাইনি সমস্যা, তখন তারা গাইনিতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর অপারেশন করতে হয়। আর এই রোগীর জন্য জরুরি ছিল অপারেশন করা। বিদ্যুৎ চলে গেলেও আমরা থেমে থাকিনি, টর্চলাইট ও মোবাইলের আলো দিয়ে অপারেশন শেষ করি।
ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। হাসপাতালের জেনারেটরও নষ্ট। অপারেশন না করলে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল। তাই একটু ঝুঁকি নিতেই হলো। মোবাইল আর টর্চের আলোতে আমাদের টিমের সবার সহযোগিতায় অপারেশন সফল হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক