ভ্রূণ হত্যা, নির্যাতন, যৌতুকের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে নাজমুস সাকিব, তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট বাবা-মাসহ এএসপি নাজমুস সাকিবকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে মার্চে নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা দিতে না পারায় আসামিরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
আরও অভিযোগ করা হয়, ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতের গর্ভপাত করান।