ঢাকা ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২২
আষাঢ়ের রৌদ্রোজ্জ্বল এক মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ সেতুতে টোল দেওয়ার মাধ্যমে সেতুতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টার দিকে উদ্বোধন করেন। দৃঢ় সংকল্প, আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্ন পূরণে বহু বাধা পেরোনোর নতুন এক গল্প লিখল বাংলাদেশ। উন্মোচন হলো নতুন যুগের সম্ভাবনার দখিনা দুয়ার। স্বপ্ন হলো আজ বাস্তব।
এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। শেখ হাসিনার অসীম সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন উন্মত্ত পদ্মার বুকের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ সেতু নির্মাণে ছিল অজস্র চ্যালেঞ্জ। পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বিদেশিদের অপমানের জবাবও দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেছেন।
এরপর টোলপ্লাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
তারপর সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেন।
সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করেন। পরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জনসভাস্থল লোকে লোকারণ্য। ভোর থেকে লাখো মানুষ লঞ্চ-নৌকা ও বাসে চড়ে জনসভাস্থলে হাজির হন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বিশাল এই জনসমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জনসভাস্থলের সভামঞ্চ পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হয়েছে। থাকছে ছয় দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন। আর এসব ঘিরে মানুষের মনে, বিশেষ করে পদ্মা পাড়ের মানুষের ঘরে বইছে উৎসব। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা চৌকি। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
দেশের দীর্ঘতম সেতুটির জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজে সেজেছে। নতুন রূপে সেজেছে পদ্মার পাড়। যার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক