ঢাকা ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৫
ক্ষুধা মেটাতে সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে আবারও ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল ৩৬ নিরীহ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন ২শ’র বেশি। এই হামলাকে ‘অমানবিক ও উদ্দেশ্যমূলক’ বলছে জাতিসংঘ।
গাজার দেইর আল-বালাহর ভোর ক্ষুধা দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় দীর্ঘ লাশের সারিতে। ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে খাদ্যের খোঁজে আসা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। আহত হন অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রোন আর ট্যাংক থেকে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। যদিও ইসরাইলের দাবি, তারা শুধু সতর্কতামূলক গুলি ছুঁড়েছিল। যদিও নিহতদের মধ্যে ছিল শিশু, নারী ও বৃদ্ধ; যাদের হাতে কেবল খাবারের ব্যাগ ছিল।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই এই হামলাকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সহিংসতার ধারাবাহিকতা বলেই মনে করছে জাতিসংঘ।
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলমান খাদ্য সহায়তা ব্যবস্থা নিয়ে দিনে দিনে সমালোচনা বাড়ছে। এ ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, এই বিতরণ পদ্ধতি আন্তর্জাতিক সহায়তার নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় প্রবেশে মানুষকে বাধ্য করছে।
এদিকে, প্রথমবারের মতো দুই কট্টর ডানপন্থি ইসরাইলি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচটি দেশ। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এবং নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধের পাশাপাশি সেখানে থাকা সম্পদও জব্দ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিয়েছেন এবং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের পক্ষে কথা বলেছেন। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইসরাইলি ওই দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার তালিকায় রয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে।
তবে এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক