ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ বরগুনায় : অনিয়ম ও ভুল রিপোর্টে বিপাকে মানুষ

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৫

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ বরগুনায় : অনিয়ম ও ভুল রিপোর্টে বিপাকে মানুষ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জেলার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত গৌরিচন্না ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই সংকটকালে রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বাড়তি অর্থ আদায় ও ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

 

 

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ বছরের মুসার মা তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘একই দিনে তিনটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করিয়েছি, কিন্তু প্রতিটির রিপোর্ট ভিন্ন।’ ফলে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে রোগীদের মাঝে।

 

 

বরগুনা জেলায় ১২০টির বেশি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যাদের অধিকাংশেরই নেই সরকারি অনুমোদন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এক স্থানে পরীক্ষা করতে ১ হাজার টাকা, অন্যত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চিকিৎসা খরচ আরও বেড়েছে।

 

 

বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ জানান, মহামারি পরিস্থিতিকে পুঁজি করে যারা ব্যবসা করছে, তারা প্রতারণা করছে। সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

 

 

ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান। তিনি বলেন, সমিতির নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে মশা তাড়ানোর সামগ্রীর দামও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। কয়েল, স্প্রে ইত্যাদির অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই জানিয়েছেন, এক প্যাকেট কয়েলের দাম ৮০-১০০ টাকা, স্প্রে ৭০০ টাকা—যা সাধ্যের বাইরে।

 

 

 

পৌর প্রশাসক অনিমেষ বিশ্বাস ও সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ আশ্বস্ত করেছেন, অভিযোগ পেলে অবৈধ ও মানহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ