ঝালকাঠিতে ৮ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষক আটক

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২১

ঝালকাঠিতে ৮ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষক আটক
নিউজটি শেয়ার করুন

 

ঝালকাঠিতে একটি হাফেজি মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে দুষ্টামি করায় ৮ শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে কক্ষে আটকে রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের কে খান হাফেজী মাদ্রাসায় শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ অবিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেন। এসময় মাদ্রাসা থেকে ৪ ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় রবিবার (৮ আগস্ট) সকালে নির্যাতনের শিকার শিশুশিক্ষার্থী মো. আমিরুল ইসলামের বাবা শামিম খলিফা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় শিশু আইনে একটি মামলা করেন।

 

পুলিশ জানায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসাটির একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। শনিবার বিকেলে তিনি মাদ্রাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিলো। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ কক্ষের দরজা আটকে ৮ শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেন। শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতিও দেখান তিনি।

 

পরে মো. সিয়াম (৯) নামে এক শিক্ষার্থী কৌশলে পালিয়ে পোনাবালিয়া বাজারে এসে বিষয়টি লোকজনকে জানায়। তারা মাদ্রাাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেয়।

 

ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ