ঝালকাঠিতে শিশু পরিবারেই ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২

ঝালকাঠিতে শিশু পরিবারেই ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম
নিউজটি শেয়ার করুন

 

ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি চেয়ার দুটি শিশু দু’মাথা ধরে জাগিয়ে নিচ্ছে। এরমধ্যে একজন কিশোর হলেও অপরজন শিশু বয়সের। চেয়ার জাগিয়ে নিতে দুজনেরই খুব কষ্ট হচ্ছে।

 

এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন জনে নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন। তবে ছবিতে যে দু’জন চেয়ার বহন করছে তারা শিশু পরিবারের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন সরকারি শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

 

তিনি জানান, ২ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যেই দিবসটি পালন করা হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এমপি আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিসি মো. জোহর আলী।

 

জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক শাহপার পারভীন সভাপতিত্ব করেন। ওই সময় অতিথিদের আসন গ্রহণের জন্য জেলা অফিস থেকে শিশু পরিবারের ছাত্রদের দ্বারাই চেয়ার নেয়া হয়েছে। কোন বয়সের শিশুদের দিয়ে কোন কাজ করানো যাবে সে ব্যাপারে আমাদের নীতিমালা আছে সে অনুযায়ীই কাজ করানো হচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অধিদফতর বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ সংলগ্ন ঝালকাঠি চাঁদকাঠি এলাকায় অবস্থিত। সরকারি শিশু পরিবারে যা থেকে শিশুদের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেয়া করানো হয়। ৫০ গজেরও বেশি দূরত্বে এ মহাসড়কেই পায়ে হেঁটে মাথায় বা হাতে বোঝা নিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন ওই মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন, মালবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

 

অপরদিকে শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানোর ফলে একাধিক ছাত্রের শরীরে রয়েছে কাটা জখমও। জখমী ছাত্রের শরীর থেকে ঝড়েছে রক্তও। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেয়ায় তাদের পায়ে রয়েছে এখনও ব্যান্ডেজ। তবে জখমী ছাত্ররা তাদের বসবাসের কথা চিন্তা করে নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

 

ছাত্রদের জখমের ব্যাপারে উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, কৃষি ক্ষেতে পানি দিয়ে গিয়ে কাঁচ ভাঙায় একটি শিশুর পা কেটে গেছে। অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম বসবাসরত শিশুদের মধ্যে যার যেমন বয়স তাকে দিয়েই তেমন কাজ করানো হচ্ছে। যা আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ