ঝালকাঠিতে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন

প্রকাশিত: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২০

ঝালকাঠিতে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন
নিউজটি শেয়ার করুন

 

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি পৌরসভার ২২ কর্মচারী মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদারের সই জাল করে ভবিষ্য তহবিলের (প্রভিডেন্ড ফান্ড) ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাবেক এক মেয়রের স্ত্রী ও শ্যালক রয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬ নভেম্বর এক জরুরি সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পৌর মেয়রের নির্দেশে ১১ সদস্যের তদন্ত করা হয়। কমিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৩ নভেম্বর মেয়রের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

 

মেয়র লিয়াকত আলী জানান, রূপালী ব্যাংকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘ভবিষ্য তহবিল’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশসহ ২০ শতাংশ অর্থ এ হিসাবে জমা রাখা হয়। যা কর্মচারীরা চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর পেয়ে থাকেন। তবে কর্মচারীরা এ তহবিল থেকে অবসরের আগেও ‘ধার’ নিতে পারেন। তবে টাকা উঠাতে চেকে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর যৌথ স্বাক্ষর লাগে। কিন্তু কতিপয় কর্মচারী এক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। মেয়র জানান, চেকে আমার সই জাল করে ব্যাংকে টাকা উঠাতে গেলে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।

 

পৌর সচিব শাহীন সুলতানা বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ভবিষ্য তহবিল হতে মেয়রের সই জালের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে কর্মচারীরা ট্রাক হেলপার মিলন হাওলাদার ও মর্তুজ আলি তাদের চেকে মেয়রের সই এনে দিয়েছে বলে জানায়। কিন্তু মিলন ও মর্তুজ আলী জানান, আমরা আমাদের চেকে মেয়রের স্বাক্ষর এনেছি। বাকিরা নিজেদের বাঁচাতে আমাদের নাম বলছে। ২৬ নভেম্বর পৌরসভার জরুরি সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর, সাময়িক বরখাস্ত এবং কেন তাদের স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে সর্বসম্মতিক্রমে নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযুক্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সালাম সিকদার বলেন, এসব চেকে মেয়র সই করলেও পৌরসভার নথিতে তা উল্লেখ না থাকায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ