ঢাকা ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২২
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশালঃ ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করছে। এমন অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন যানবাহনচালকেরা।
ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুনের লস্কর আবুল হোসেন বলেন, ফেরিঘাটের একটি লো-ওয়াটার ঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে জরাজীর্ণ। অন্যটি হাই ওয়াটার ঘাটের, যা বর্ষা মৌসুমে ব্যবহার হয়। যদিও সেটি নতুন। তিনি জানানোর পরে বরিশালের কর্মকর্তারা এসে ঘাটটি দেখে গেছেন। দ্রুত সংস্কার হবে।
গতকাল শনিবার দেখা যায়, বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা অংশের দুই পাশে গর্ত করে সড়ক প্রশস্তের কাজ চলছে। সড়কের মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি। সড়ক শেষে উঁচু বাঁধ অতিক্রম করে যানবাহন ও যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে হয়। সড়ক থেকে ঘাটের পন্টুন পর্যন্ত সংযোগ সড়কটুকুও ভাঙাচোরা। বৃষ্টির সময় তা বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমে ধুলো উড়ছে। ঘাটের আশপাশে পার্কিং প্লেস নেই। ফেরিতে উঠতে-নামতে যানবাহনের সমস্যা হচ্ছে।
লো-ওয়াটার ফেরিঘাটের পন্টুনে ওঠার সময় দেখা যায়, গ্যাংওয়ের দুই মাথায় ফাটল ধরেছে। অনেকাংশ বেঁকে আছে। ফাটল অংশে ইটের খোয়া ফেলে গাড়ি ওঠানামা করছে। এ ছাড়া পন্টুনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে।
ইলিশা ফেরিঘাটের ইজারাদার মো. ইউসুফ পাটওয়ারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ এ গ্যাংওয়ের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। জোয়ার-জলোচ্ছ্বাস ঝড়-বন্যায় এমনিতেই ঘাট দুটিতে সমস্যার শেষে নেই, তারপর গ্যাংওয়ে ফেটে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটবে।
নোয়াখালীর চৌমুহনীর উদ্দেশে লালমোহন থেকে ছেড়ে আসা ধানবাহী ট্রাকের চালক জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, খুবই ঝুঁকি নিয়ে তাদের ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। যেকোনো সময় গ্যাংওয়ে ভেঙে নিচে দেবে যেতে পারে।
ইলিশা ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি চার মাস আগে জরাজীর্ণ পন্টুন ও গ্যাংওয়ের ছবি তুলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু হবে হবে করে সংস্কার হচ্ছে না।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক