বরগুনার আমতলী উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নে মহামারি করোনায় মানুষের হাত ধোয়ার জন্য ৩টি বেসিন নির্মিত হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে তা কোন কাজে আসছে না সাধারণ মানুষের। নির্মাণের কয়েকদিন পর ওই বেসিনে হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবান থাকলেও এখন তা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সাধারণ মানুষের জন্য ৩টি হাত ধোয়ার জন্য বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরে ২টি এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের সামনে ১টি। একেকটি হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। ৩টি নির্মাণে সর্বমোট ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত বছর উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরে এলজিইডি অফিসের পূর্ব পাশে ও সোনালী ব্যাংকের দক্ষিণ পাশে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর অফিসের সম্মুখে এই ৩টি হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হয়। ওই বেসিনগুলোতে এখন ধুলোবালি ও ময়লা আবর্জনা জমে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বর্তমানে বেসিনগুলো এখন আর কোন কাজেই আসছে না। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের শুর”তে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন অফিসের কাজে আসা দর্শনার্থীদের হাত ধুতে দেখা গেলেও বেসিনগুলো নিয়মিত তদারকি না করা, পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন না করা ও সাবান না রাখার কারনে সাধারণ মানুষ এখন আর এ বেসিনগুলো ব্যবহার করছেন না।
দিনে দিনে এর ব্যবহার কমে বেসিনগুলো এখন ধুলোবালি ও ময়লা আবর্জনা জমে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমতলীতে করোনা মহামারীতে সাধারণ মানুষদের হাত ধোয়ার জন্য এসকল হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে।
নির্মাণের পর এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। বেসিনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদেরই। আমার কার্যালয়ের সামনে নির্মিত হাত ধোয়ার বেসিনটি নিয়মিত পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন করা হয় এবং হাত ধোয়ার জন্য সাবান রাখা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, হাত ধোয়ার বেসিনগুলোগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পুনঃরায় সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করা হবে