ছিনতাই করতে গিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘ছিনতাই করতে গিয়ে মারা যাওয়া ও জুলাই আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিল না, তাদের তালিকায় আনা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-(২০১৮-২৪)’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নুরুল হক নুর এ মন্তব্য করেন। গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়।
জুলাই অভ্যুথানের আহত ও শহীদদের তালিকা নিয়ে নুর বলেন, ছিনতাই করতে গিয়ে মারা যাওয়া ও জুলাই আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিল না, তাদের তালিকায় আনা হয়েছে। এই ভুলটা হলো কি করে? এই তালিকা যারা করেছে তারা জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি অবমাননা ও অশ্রদ্ধা করেছে। এই প্রতারণার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে জুলাই সনদের ঘোষণার দাবি জানিয়ে নুর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের যে ফিটনেস দেখতে পাচ্ছি তাতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব না। আগামীতে স্বৈরাচারীরা নাশকতা ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। এজন্য উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা দিন।
নুরুল হক নুর বলেন, একটি দলকে বিবেচনা করে এই ধরণের জুলাই সনদ নিয়ে তো আলোচনা করা যায় না। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নেতৃবৃন্দের দ্বারা হয়নি, বরং পুরানো ধারা পরিবর্তনে তরুণদের নেতৃত্বে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে অবশ্যই তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। আমরা বিভেদ-বিভাজন তৈরি হয় এমন বক্তব্য থেকে দুরে থাকি। তার মানে এইনা আমরা সকল বিষয় নিরবে-নিভৃতে সব মেনে নেব। ঐকমত্য কমিশনে সাংবাদিক, শিক্ষক ও প্রতিটি পেশাজীবী সংগঠনের মতামত নিতে হবে। যে আলোচনা হয়, সেটা গণভিত্তিতে মতামত নিয়ে গণভোটের আয়োজন করারও দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে ৩৪ এর অধিক দল রয়েছে, যাদের কোনো রাজনৈতিক সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই, মাঠেও কোনো কার্যক্রম নেই। তাদের কথায় ঐকমত্য কমিশনে জাতীয় ঐক্যে ও জুলাই সনদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল মামুন, আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।