অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কমেডি নাটকের অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে মুচলেকায় নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ও সাইবার নজরদারির মাধ্যমে দেখতে পায়, কয়েকটি চক্র অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছে।
এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্টের অভিনেতা শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলী, ৩৭, পরিচালক উত্তম কুমার ধর, ৩৮, ও প্রযোজক মো. শাসসুল হককে, ৫৫, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগে ডেকে তাদের কৃতকর্মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের বিভিন্ন অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার কথা স্বীকার করেন। তারা তাদের কৃতকর্মের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ডিবি কার্যালয়ে হাজির হয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আর কোনো সদস্য অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করবেন না বলে ডিসি-ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের কাছে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এছাড়া আপলোডকৃত কনটেন্টগুলো ডিলিট করার অঙ্গীকার দিয়ে মুচলেকা গ্রহণ করে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি করছে। ভবিষ্যতে কোনো অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ আপলোড করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করেছেন তাদের অতি দ্রুত কনটেন্টগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কন্টেন্ট তৈরি ও আপলোড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। যারা পুনরায় অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কন্টেন্ট তৈরি এবং আপলোড করবে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে বলেও জানান ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের এই কর্মকর্তা।