ঢাকা ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল না পেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় মো. মাকসুদ হাওলাদার (৫০) নামে এক দরিদ্র ব্যক্তিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ৪নং ইকড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকালে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে উপজেলার সিসি টিভি ক্যামেরায় তাকে মারধরের ঘটনা দেখা যায়। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত ও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না।
ভাণ্ডারিয়া প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার বিকালে পশ্চিম পশারিবুনিয়া গ্রামের মো. মাকসুদ হাওলাদার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সূলভ মূল্য কার্ড (নং ১৭৮) এর ৩০ কেজি চাল না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার কার্ড বাতিলের অভিযোগ দেন।
এতে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী মাকসুদকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে চরথাপ্পড় মারেন। এছাড়া ১৮৮নং কার্ডধারী মো. রফিক নামে এক ব্যক্তির চাল ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিলার মো. মোজাম্মেল হক ও ইউপি সদস্য মিলে আরও অনেকের কার্ডের চাল ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সুমন চন্দ্র মণ্ডল জানান, গত মার্চ মাসে মো. মাকসুদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির। এলাকায় না থাকার অভিযোগ দিয়ে চেয়ারম্যান নাম কেটে দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাকে (মাকসুদ) আমি মেরেছি তার কোনো সাক্ষী আছে কিনা আপনার কাছে- এ কথা বলেই মোবাইল ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর জানান, তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে কার্ডের ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, যার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এটি মাসুদের কিনা সঠিক বলতে পারেননি তিনি।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক