চাল চুরি করে বরখাস্ত হলেন পাথরঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০

চাল চুরি করে বরখাস্ত হলেন পাথরঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান
নিউজটি শেয়ার করুন

 

কর্মহীন জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফের সরকারি চাল চুরির অভিযোগে বরগুনার পাথরঘাটা উজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুকে আবারও বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আলম চৌধুরী সাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানা যায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

 

জানা যায়, সরকা থেকে বরাদ্দ করা সাড়ে ২৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দীন পল্টুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু ৫৫০ জন জেলে পরিবারের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ভিজিএফের চাল স্থানীয় ট্যাগ অফিসারকে না জানিয়ে উপকারভোগীদের ৮০ কেজি চালের পরিবর্তে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এভাবে তিনি ৫৫০টি পরিবারের ২৭ হাজার ৫০০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন।

 

তারও আগে ৪ এপ্রিল চাল চুরির অভিযোগে চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে। প্রায় তিন মাস বরগুনা কারাগারে থাকার পর ১০ জুন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান পল্টু। এ সময় ওই চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হন।

 

এরপর ২২ জুলাই বরখাস্ত আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পল্টু। ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে পুনরায় হাইকোর্টে আপিলের আবেদনের আদেশ দেন।

 

পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু তার এলাকায় বরাদ্দকৃত ৪৪ মেট্রিক টন চালের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণের সঠিক প্রমাণ দিতে পেরেছেন। বাকি সাড়ে ২৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কোনো সঠিক প্রমাণ দিতে পারেননি।

 

চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু বলেন, আমি এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ এখনও পর্যন্ত পাইনি।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ