ভোলার চরফ্যাসনের চেয়ারম্যান বাজারে দোকানঘরে হামলা করে জবর দখল চেষ্টা এবং মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, জবরদখল চেষ্টা এবং লুটের ঘটনা ঘটে।
এসময় দোকান মালিক মাহাবুব, জসিম উদ্দিন, মালিকের স্ত্রী রিপা, শিশু সন্তান তানজিল এবং দোকানের ক্রেতা পারভীন বেগমসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
হামলাকারীরা দোকান মালিককে বের করে দিয়ে মালামাল লুট করে তালা দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, দখলকারীদের দোকান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আপাদতঃ দোকানঘরটি পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে।
হামলায় আহত দোকান মালিক মাহাবুব ও জসিম উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান বাজারের সদর রোডে বিরোধীয় জমির ২টি দোকান ভিটার মালিক তাদের বাবা আবুল কালাম মেম্বার।
প্রায় ৪২ বছর ধরে দোকানঘর নির্মাণ করে আবুল কালাম মেম্বার ভোগ দখলে আছেন। যার ধারাবাহিকতায় আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে মাহাবুব এবং জসিম উদ্দিন ওই ২টি ভিটায় পপুলার মেডিসিন কর্নার এবং বাবুল মেডিকেল নামে দু’টি দোকান পরিচালনা করে আসছেন।
সম্প্রতি প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংরা ওই দোকান ভিটার মালিকানা দাবী করলে সংকট শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে আবুল কালাম মেম্বার চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
সিদ্দিকগংরা বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ উপেক্ষা করে রোববার সকালে দোকানঘরটি জবর দখলের চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে বর্হিরাগত ৫০-৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সিদ্দিক দোকান ঘর ২টি জবর দখলের চেষ্টা করেন।
এসময় দোকানের মালিক মাহাবুব ও জসিমরা বাধাঁ দিলে তাদের মারধর করে দোকান থেকে বের করে ক্যাশের টাকা ও দোকানের মালামাল লুুট করা হয়।
খবর পেয়ে দোকান মালিকপক্ষের স্ত্রী-সন্তানরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দখলদার সিদ্দিকগংদের দোকান থেকে বের করে দোকানটি পুলিশের জিম্মায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
অভিযুক্ত সিদ্দিক জানান, বিরোধীয় ঘরের মালিক ছিলেন তার বাবা আশ্রাফ আলী। প্রতিপক্ষ আবুল কালাম মেম্বার তার ভগ্নিপতি। আশ্রাফ আলীর জামাতা হিসেবে আবুল কালাম শ্বশুড়ের ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্ত শ্বশুড় আশ্রাফ আলীর মৃত্যুর পর ভাড়াটিয়া জামাতা আবুল কালাম নিজেই ঘরের মালিকানা দাবী করে দখল করে নেন। এখন বাবা আশ্রাফ আলীর ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ছেলেরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা দাবী করছি।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা এড়াতে পুলিশ আপাদতঃ বিরোধীয় ঘরটি পুলিশের জিম্মায় রেখেছে। উদ্ভুত ঘটনার জন্য কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।