ঢাকা ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২০
পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের জাকির হোসেন মধুর নামে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি নিজেকে এলাকার কোটিপতি হিসেবে দাবি করে আসছেন।
পৈতৃক জমিজমা ও ক্রয় করা পাঁচ একরেরও বেশি জমিজমা রয়েছে তার। বিশাল আকারের কয়েকটি পানের বরজও রয়েছে। গরু রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি। তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম গোলখালী এলেমাবাদ দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী কোটায় শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
এ ধরনের একটি বিত্তবান পরিবার ত্রাণের ঘর পাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন এলাকাবাসীর কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই এলাকার মৃত আ. ছত্তার সিকদারের স্ত্রী শাহানারা বেগম, মৃত তাজেম আলী সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম, রহিমউদ্দিন, মহিউদ্দিন, বিধবা সালেহা বেগম, রানী বেগম, মোতাহার বেড়িবাঁধে ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছেন। এরা ঝুপড়ি ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ এদের ঝুপড়ির সামনেই গরিবদের জন্য সরকারের দেয়া ঘর শোভা পাচ্ছে বিত্তবানদের দখলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত গরিবদের আবাসন সুবিধার জন্য ৭২টি ঘর তুলে দেয়া হয়েছে। কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গলাচিপা সদর ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান হিরণ জানান, জাকির হোসেন মধু বিত্তবান। নিজেকে তিনি এলাকার কোটিপতি হিসেবে দাবি করেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ঘর তাকে কীভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে আমাদের তা জানা নেই।
গলাচিপা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী জানান, ধনী হয়েও মধু কীভাবে গৃহহীনদের আবাসন সুবিধার ঘর পেয়েছেন তা আমার জানা নেই।
জাকির হোসেন মধুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করে বারবার ফোন কেটে দেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক