ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ জাতীয় উদ্যানটি রক্ষায় কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না থাকায় এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উদ্যানটি কোনো কাজে আসছে না। অব্যাহত ভাঙনে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে গেছে ঝাউবন আর পিকনিক স্পটসহ মূল্যবান অবকাঠামো। ফলে বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা ও ফাতরার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে উপকূলীয় বন বিভাগ তিন হাজার একর জমিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান স্থাপন করে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখানে নেওয়া হয় নানা পরিকল্পনা। খনন করা হয় বিশাল মনোরম লেক, নির্মাণ করা হয় বেশ কয়েকটি পিকনিক সেড, রোপণ করা হয় দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির গাছপালা। যা অল্পদিনের মধ্যেই পর্যটকসহ সকলের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়।
গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন
কিন্তু ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডর কুয়াকাটা উদ্যানটি লন্ডভন্ড করে দেয়। ধ্বংস হয়ে যায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সব স্থাপনা। ২০১০ সালে পার্কটি জাতীয় উদ্যানে রূপান্তরিত করা হলেও সিডর পরবর্তী সময়ে এখানে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় আস্তে আস্তে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ফাতিমা আক্তার বলেন, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান স্থাপন করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ জাতীয় উদ্যানটি রক্ষায় কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেওয়ায় তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিনোদনের জন্য উদ্যানটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা দরকার। এতে পর্যটকরা নতুন একটি বিনোদনকেন্দ্র পাবে।
শরীয়তপুর থেকে আসা পর্যটক মামুন বলেন, জাতীয় উদ্যানটি রক্ষায় এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন
মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, উদ্যানটি রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।