ঢাকা ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া নড়াইল:: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম, পার বিষ্ণুপুর, পারভোমবাগ ও বুড়িখালী বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিঃ মিঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গায় শতাধিক বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাউবোর জায়গায় পাঁকা ঘর যেমন নির্মান হয়েছে, তেমনি রয়েছে আঁধা পাঁকা ও টিনের ঘর। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী জানান, ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা ওই জমি ভোগ-দখল করে আসছেন।
স্থাণীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পারভোমবাগ গ্রামের পাউবোর ড্রেনে বালু ভরাট করে দালানঘর নির্মান করে বসবাস করছেন মালায়েশিয়া প্রবাসী মৃত আবুতালেব ফরাজীর ছেলে আমিন ফরাজী। মৃত জব্বার মোল্যার ছেলে বোম্বে ফেরত জাবের মোল্যার আঁধা পাঁকা ঘরের কাজ এখনো চলমান। মৃত বাহাদুর মোল্যার ছেলে ওমির মোল্যা স্থায়ী পাঁকা দোকান করে ব্যবসা করছেন।
এছাড়া বুড়িখালী বাজারে মুনজুর মোল্যা ৫টি পাঁকা দোকান করে ভাড়া দিয়েছেন। মৃত নুরুল হক মোল্যার ছেলে ইব্রাহীম মোল্যা তিনটি পাঁকা দোকান ঘর তুলেছেন এবং তার উত্তরে তার প্রতিবেশী পাঁকা দোকান ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এসব দখলদার দেখার কেউ নেই যেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তরা জানান, নদী ভাঙ্গনে বসতি বিলিন হওয়ায় ২৫/৩০ বছর ধরে তারা ভোগদখল করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ছাড়াই পাউবোর জায়গায় পাঁকা ভবন নির্মাণ করেছেন।
এ বিষয়ে পাউবোর কালিয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম আল জহির সরকার বলেন, অভিযুক্তরা সরকারের অনুমতি ছাড়াই জমি জবরদখল করেছেন। এতে বড় অংকের রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। আমরা পরিদর্শনে গেলে তারা সাময়িক কাজ বন্ধ রাখেন। পরে আবার শুরু করেন। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক