কালিয়ায় ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সন্তানের স্বীকৃতি চান স্বজনরা!

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২২

কালিয়ায় ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সন্তানের স্বীকৃতি চান স্বজনরা!
নিউজটি শেয়ার করুন

 

জিহাদুল ইসলাম, কালিয়াঃ নড়াইলের কালিয়া পৌর এলাকার বড়কালিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত মনিন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে রূপ কুমার (৬৫) কর্তৃক ধর্ষনের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি (১৮) কিশোরীর আগত সন্তানের স্বীকৃতি চান তার স্বজনরা।

 

অভিযুক্তের স্কুল শিক্ষক ভাই বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থাণীয় শালিসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করতে চাইলেও ধর্ষনের শিকার প্রতিবন্ধির বড় চাচা অসীম কুমার ঘোষ বিষয়টি মেনে নেননি। আগত সন্তানের স্বীকৃতি চান তিনি।

 

২০ মার্চ (রবিবার) বিকেলে সরেজমিনে গেলে এ বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করে অসীম কুমার ঘোষ জানান, ১২ বছর আগে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ভাইয়ের স্ত্রী মারা গেলে তার একমাত্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কণ্যাকে নিজের বাড়ী রেখে লালনপালন করে আসছেন। অভিযুক্ত প্রতিবেশী রূপকুমারের সাথে তার ভাল সম্পর্ক থাকায় সে নিত্যদিন আমার বাড়ীতে যাতায়াত করত। কিন্তু তার অভিসন্ধি আমি বুঝতে পারিনি।

 

অনুমান ১৫/২০ দিন পূর্বে আমার ৬ষ্ঠশ্রেণীতে পড়–য়া অপর ভাইয়ৈর মেয়ে রান্নাঘরে গেলে আমার প্রতিবন্ধি ভাইঝির সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় রূপকুমারকে দেখে ফেললে বিষয়টি জানতে পারি। অতঃপর প্রতিবন্ধি মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, দীর্ঘদিন ভয় দেখিয়ে তাকে অসংখ্যবার জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে ওই রূপকুমার। আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ভাইঝি এখন অন্তসত্তা। আমি তার আগত সন্তানের স্বীকৃতিসহ সুষ্ঠ বিচার চাই।

 

ধর্ষনের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরী অস্পষ্ট ভাষায় সাংবাদিকদের জানায়, রূপ কুমার তাকে ভয় দেখিয়ে অনেকবার জোর করেছে এবং কাউকে কিছু না বলতে নিষেধ করেছে। সেও তার আগত সন্তানের স্বীকৃতি পেতে, রূপকুমার তাকে বিয়ে করুক বলে জানায়।

 

অভিযুক্ত রূপ কুমার বিষয়টি অস্বীকার করলেও শালিসের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করার বিষয়ে বলেন, মান সম্মান রক্ষার জন্য তিনি তার স্কুল শিক্ষক ভাইকে স্থাণীয় ও স্বজনদের নিয়ে মিমাংসা করতে বলেছেন বলে জানান।

 

এ বিষয়ে কালিয়া থানার (ওসি তদন্ত) রতনুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ