আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ আমতলী পৌরসভার সাবেক এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর মিথ্যা মামলা করায় বাদী শিখা রানী এখন জেল হাজতে। আদালতের নির্দেশে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা ও আমতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্বপাসে বসবাসরত ৬ নং ওয়ার্ডের সুভাস চন্দ্র হাওলাদারের স্ত্রী শিখা রানী ওই একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌন হয়রানির একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামী জান্নাতুল ফেরদৌসের পক্ষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ মামলাটি ছয় বছর ধরে আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় কোন স্বাক্ষী হাজির করতে পারেনি বাদী পক্ষ এবং কেউ স্বাক্ষীও দেয়নি আদালতে। পরে আদালত আসামী জান্নাতুল ফেরদৌসকে খালাস দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করে দেয় এবং একই আদেশে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে আসামীকে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। আসামী জান্নাতুল ফেরদৌস ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার রাতে পুলিশ শিখা রানীকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার শিক্ষা রানীকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাবেক কাউন্সিলর মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিক্ষা রানী আমাকে হয়রানি করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আমাকে খালাস দিয়ে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। আমি মামলার করলের আদালত শিক্ষা রানীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের থেকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর পর শিক্ষা রানীকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।