ঢাকা ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২২
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনী পাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তফা জামান। ২০১২ সালে ঢাকা থেকে দেশি জাতের বীজ সংগ্রহ করে শখের বসে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে ভগ্নিপতির পরামর্শে বাড়ির পাশের ১ একর জমিতে ৪০০ গাছ নিয়ে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন ফলটির উৎপাদন।
লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল বাগানে বসেই মোস্তফা বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা কেজি দরে। এতে খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।
বর্তমানে মোস্তফার বাগানে সিঙ্গাপুরের পেলোরা, বারি অন সাদা, বারি অন লাল, বারি অন গোলাপি, বারি গোল্ড, ইজরাইলি হলুদ, রেড ভিউ বেট ও ব্লাক ইষ্টসহ ১০ প্রজাতির ড্রাগনের গাছ রয়েছে। এসব প্রজাতির মধ্যে আট প্রজাতির গাছই এখন ফলে ভরপুর। বর্তমানে মোস্তফার এই বাগানটি এক নজরে দেখতে বিভিন্ন এলাকার চাষিরা আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, ড্রাগন চাষে মস্তফার সফলতা দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। ইতোমধ্যে কলাপাড়া উপজেলায় গড়ে উঠেছে অন্তত ৫০টি ছোট বড় ড্রাগন বাগান। এসব বাগানের মালিকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক সোহেল ঘরামী বলেন, ‘মোস্তফার বাগানের ড্রাগন ফলের ফলন বেশ ভালো। গত মাসে তার বাগান ঘুরে দেখেছি। সে সময় তার কাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু করি।’
নীলগঞ্জের কৃষক সিদ্দিক গাজী বলেন, ‘ড্রাগন চাষে মোস্তফা সফল হয়েছেন। তার বাগান ঘুরে দেখেছি। পরিকল্পনা করেছি নিজেও একটি ড্রাগন বাগান করবো। আশা করি সফল হতে পারবো।’
ড্রাগন চাষি মোস্তফা জামান বলেন, ‘মূলত শখের বসেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। এখন বানিজ্যিকভাবে করছি। আলহামদুলিল্লাহ আয়ও ভালো হচ্ছে। বাড়িতে বসেই ড্রাগন পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমার বাগানে ৮ প্রজাতির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে। তবে ভিয়েতনামের রেড ও তাইওয়ানের রেডে এখনও ফল ধরেনি। আগামী মাসের মধ্যে এই দুই জাতের গাছেও ফল আসবে বলে আশা করি।’
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘মোস্তফা জামান এখন সফল ড্রাগন চাষি। তার দেখাদেখি ইতোমধ্যে অনেক যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা অনেক যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আশা করছি আগ্রহী এসব যুবকদের মাধ্যমে এ উপজেলায় ড্রাগন বাগানের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।’
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক