এক বছরে বায়ুদূষণে ১ লাখ ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২০

এক বছরে বায়ুদূষণে ১ লাখ ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বায়ুদূষণের কারণে ২০১৯ সালে ১ লাখ ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ফলে এমনটা ঘটেছে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে বায়ুদূষণের মাত্রা কমলেও বাইরে দূষণের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

 

সম্প্রতি হেল্থ এফেক্টস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার-২০২০’র প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।

 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুমৃত্যুর অধিকাংশই বাড়ির বাইরের দূষণ প্রক্রিয়ার (পিএম ২.৫) সঙ্গে যুক্ত। কাঠকয়লা, কাঠ বা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত পশুর মল জ্বালানোর ফলে সৃষ্ট দূষণ এর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গৃহের নানা সরঞ্জামে সৃষ্ট বায়ুদূষণ ও বাইরের দূষণের সংস্পর্শে আসে শিশুরা। এতে করে ধীরে ধীরে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে ক্যান্সারসহ নানা স্নায়ু সংক্রাক্ত অসুখে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়। জন্ম নেয়ার পর থেকেই শিশুদের মধ্যে কম ওজন, অপুষ্টিসহ একাধিক লক্ষণ দেখা যায়। এরপর শিশুরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

 

ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান বাইরের বায়ুদূষণের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গত বছর শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের বায়ুদূষণের মাত্রা পিএম ২.৫। গত এক দশকে এই দেশগুলো বায়ুদূষণের মাত্রাও ক্রমে বেড়েছে।

 

ওই গবেষণায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ গৃহস্থালির বায়ুদূষণের শিকার। শীতের সময়ে এই দূষণ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

 

হেল্থ এফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ড্যান গ্রিনবাম জানান, সমাজের একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হল তাদের শিশুর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা। এক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য মতে- দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার একাধিক অঞ্চলে এই সমস্যা গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

 

এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ কল্পনা বালকৃষ্ণণ জানান, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য এটি অধিক চিন্তার বিষয়। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল। এখানে অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্য, শিশুর স্বাস্থ্যের উপরে গুরুত্ব দেয়া খুবই জরুরি। কারণ এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

 

তিনি আরো জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বেড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে এই বায়ুদূষণ। তাই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়ভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ