একনেক সভায় ওঠেনি জবির প্রকল্প, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৫

একনেক সভায় ওঠেনি জবির প্রকল্প, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
নিউজটি শেয়ার করুন

 

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির পর সরকার থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানানো হয়। সে অনুযায়ী কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প নিয়ে ১১ তম একনেক সভায় আলোচনা করে দ্রুত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার (২৪ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১১তম একনেক সভায় গৃহীত নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প তালিকায় দেখা যায়নি জবির নাম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।

 

 

মনজুরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, আজ বছরের শেষ বৈঠকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প না ওঠা ও অনুমোদন না হওয়া চরম হতাশাজনক। এত বড় আন্দোলনের পরও এমন অবহেলা কি জবিয়ানদের মাহফুজের ইগোর বলি হওয়া কিংবা সিন্ডিকেটের কাছে পরাজয়? তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। এর দায় সম্পূর্ণভাবে জবি প্রশাসন ও জবি ঐক্যের। এখনই স্পষ্ট সমাধান দিন, না হয় প্রশাসনের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন, মেরুদণ্ডওয়ালা প্রশাসন গঠন করে যমুনায় যাওয়া হবে। জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রেস ব্রিফিংয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে, নইলে ধরে নিতে হবে আপনাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেছে বলেই আজ আপনারা চুপ। It is loud & clear.

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মনে হয় এই সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প অনুমোদন করবে না। কারণ এটাই আগামী বাজেটের শেষ একনেক মিটিং ছিল।

 

 

 

জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে আমরা আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। কারণ ‘ঘরে পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়’—আমাদের অবস্থাও যেন তাই। তবে এবার আমরা নিশ্চিত জবাবদিহিতা চাই। কেউই নিজেকে সুপিরিয়র ভাবব না, কোনো দিক থেকেই না—অন্তত জবি ইস্যুতে তো নয়ই। যেখানে অবহেলা বা গাফিলতির প্রমাণ মিলবে, ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা কেউই পিছু হটব না বরং সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে কোথায় সীমাবদ্ধতা, অবহেলা বা গাফিলতি রয়েছে, তা ব্রিফিং করে জানানো হবে।

 

 

 

এ বিষয়ে জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আমিরুল বলেন, একনেক সভায় জবি প্রকল্পের আলোচনা উঠা জরুরি নয়। নীতিমালা অনুযায়ী এটা একনেক সভায় উঠতে হবে এমন নয়, তারা চাইলে এটাকে রিপোর্ট আকারেও করতে পারেন। আমরা গত বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের সংশোধন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছি। সেখানে আমাদের চলমান প্রকল্পে সেনাবাহিনীর যুক্ত হওয়া এবং এমন কিছু সংশোধনী উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন করে কোনো প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়নি। এটা এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের হাতে। পরিকল্পনা উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমেই হওয়ার কথা। তিনি অনুমোদন করে রিপোর্টিং করে দিতে পারেন।

 

 

তিনি আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি যাতে অনুমোদনটা হয়। একনেকে উঠুক বা না উঠুক। এটা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। উপাচার্য যদি অনুরোধ করেন তাহলে তো ওতেই কাজ হয়ে যায়। তবে তিনি যদি এটাকে একটা ভাইটাল ইস্যু হিসেব করে সিন্ডিকেটে তুলতে হবে বলে বিবেচনা করেন, তাহলে সেটা ভিন্ন বিষয়।”

 

 

এ বিষয়ে জানতে জবি উপাচার্যকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ